হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এবং চিকিৎসার পর হাসপাতালে ত্যাগ করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছথেকে বুঝি অনুমতি/ছাড়পত্র নিতে হয়

সব কিছুর ঘটনা বিদ্যুতের মতো সব জাগায় পৌঁছে, তবে রাঙ্গামাটি বিলাইছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক দুই নিরীহ মার্মা বোনের খবর কেন বাংলাদেশের সভ্য জাতির কাছে পৌঁছাচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেতো ব্যাঙ/উইপোকার মতো সব জায়গায় লাফানো হয়েছে। এখন কেন দোষী সেনাবাহিনীদের শাস্তি দিতে সবাই শামুখের মতো চুপ করে আসে। এই বুঝি বাংলাদেশের মানুষের মানবতা।

ঐরা আবার রোহিঙ্গাদের জন্য মানবতার ভাব দেখায়, অথচ নিজের বোনকে ধর্ষণ করতে কোনো দ্বিধাবোধ করে না। যে কোনো জাতির বোন ধর্ষিত হলে সবাইতো এগিয়ে আসা উচিত তাই না এবং দোষীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দেয়াও প্রকৃত মানবতা তাই না । তবে কেন চুপ সবাই । সেনাবাহিনীরা জোর করে দুই নিরীহ মার্মা বোনদের হাসপাতাল থেকে যেতে দিচ্ছে না । যেখানে সেনাবাহিনীরা দোষীদের ধরে শাস্তি দেবে বরং সেনাবাহিনীরাই সাহায্যে এগিয়ে আসা মানুষদের সেনাবাহিনীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে এবং ডা.শহীদ ,ডা.হেমা বড়ুয়াকেসহ ৬ সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে সেনাবাহিনীরা এবং পুলিশরা। এই ঘটনাগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন কেমন ক্ষমতার অপব্যহার, কেমন জঘন্য নির্যাতন করা হচ্ছে পাহাড়িদের সাথে। এক জন মানুষ নিজের ইচ্ছাই হাসপাতালে যাবে নিজের ইচ্ছাই সেবা নিয়ে মনের সুখে হাসপাতাল থেকে চলে আসবে , এতাতো শুধু বাংলাদেশ না পৃথিবীর সব জায়গায়/দেশে স্বাধীনতা আসে এ ব্যাপারে তাই না।কিন্তু রাঙ্গামাটিতে হাসপাতালে সেনাবাহিনী কর্তৃক দুই নিরীহ ধর্ষিত মার্মা বোন চিকিৎসা নিতে এসে নিজের সুখে বাড়ি ফিরতে পারছে না। হাসপাতাল ত্যাগ করতে দিচ্ছে না , হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এবং চিকিৎসার পর হাসপাতালে ত্যাগ করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছথেকে বুঝি অনুমতি/ছাড়পত্র নিতে হয় এবং সংবিধানে মনে হয় লেখা আসে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছথেকে অনুমতি/ছাড়পত্র নিতে।কিন্তু সেনাবাহিনী ও পুলিশেরা ধর্ষণের সত্য ঘটনা ধামাচাপা দিতে নানা কিছু কুচত্র করতেছে।সেনাবাহিনী ও পুলিশের এ রকম জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদ করার জন্য এবং উপযুক্ত শাস্তির জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করতেছি।এভাবে মেয়েরা ধর্ষিত হতে থাকলে এবং উপযুক্ত বিচার না করা হলে ধর্ষণ,খুনের মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত আরো বেশি করে ঘটতে থাকবে যা ধ্বংসা ছাড়া কিছুই নয়।আমি রাঙ্গামাটির সেনাবাহিনী , পুলিশ,আওয়ামী লীগ নেতা সবার উপর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি যারা ধর্ষণের সত্য ঘটনা জেনেও ধর্ষক সেনাবাহিনী ও পুলিশদের সাথে তাল মেলাচ্ছে।

Popular posts from this blog

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি